এগারসিন্দুর

এগারসিন্দুর ইউনিয়ন: ইতিহাস, শিক্ষা ও দর্শনীয় স্থানের পরিচিতি

📚 এগারসিন্দুর ইউনিয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত (পয়েন্ট আকারে)🔵 পরিচিতি

  • এগারসিন্দুর ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ঐতিহাসিক ইউনিয়ন।
  • এই এলাকা প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য ও ইসলামি সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল।

🔵 অবস্থান ও সীমানা

  • ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত।
  • পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে
  • পশ্চিম ও উত্তরে ময়মনসিংহ জেলা
  • দক্ষিণ-পশ্চিমে গাজীপুর জেলা
  • পূর্ব ও দক্ষিণে নরসিংদী জেলা
  • 🔵 আয়তন ও জনসংখ্যামোট আয়তন ১৪.৭০ বর্গ কিলোমিটার।
  • মোট জনসংখ্যা: ৩৫,২৮৮ জন (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)।

🔵 শিক্ষা

  • শিক্ষার হার: ৮২% (উচ্চ শিক্ষার হার যুক্ত অঞ্চলের মধ্যে একটি)
  • প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ:
  • এগারসিন্দুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা
  • হাজী জাফর আলী কলেজ
  • বারাবর সিনিয়র মাদ্রাসা
  • মঠখোলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
  • আসিয়া বারি আদর্শ বিদ্যালয়
  • বাহাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • এগারসিন্দুর ঈসা খাঁ উচ্চ বিদ্যালয়
  • মজিতপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা

🔵 দর্শনীয় স্থান

  • ঈসা খাঁর দুর্গ:
  • বারো ভূইয়ার প্রধান ঈসা খাঁর ঐতিহাসিক দুর্গ, যা বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মারক।
  • শেখ সাদী মসজিদ:
  • ঐতিহ্যবাহী মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন।
  • বেবুদ রাজার দীঘি:
  • একটি প্রাচীন দীঘি, ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
  • আংটি চুড়ার বিল:
  • প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বিল এলাকা।
  • শাহ মাহমুদ মসজিদ:
  • প্রাচীন মসজিদ যা ঐতিহ্য ও ধর্মীয় ইতিহাস বহন করে।খামা বিল:
  • প্রাকৃতিক জলাশয়, শীতকালে পরিযায়ী পাখির আবাসস্থলশঙ্খ নদী:
  • এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী, জীবন ও প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতীক।

🔵 অতিরিক্ত তথ্য (যা অনেকেই জানে না)

  • এগারসিন্দুর অঞ্চলটি মুঘল আমলে বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত ছিল।
  • ঈসা খাঁর শাসনামলে এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক অঞ্চল।
  • এখানকার কিছু মসজিদ ও স্থাপনা মুঘল ও সুলতানি স্থাপত্য শৈলীর মিশ্রণে নির্মিত।


:



Ayrin Rahat PromiA
লিখেছেন

Ayrin Rahat Promi

একজন লেখকের দায়িত্ব শুধু বিনোদন নয়, বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করাও লেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি নতুন লেখকদের উৎসাহ দেন নিয়মিত লেখালেখি করতে এবং নিজের অভিজ্ঞতা শব্দের মাধ্যমে তুলে ধরতে। লেখালেখির পাশাপাশি গবেষণা, পাঠ, এবং নতুন বিষয়ের অন্বেষণেও সময় ব্যয় প্রয়োজন ।আরও

রেসপন্স (0)

    🎯 জনপ্রিয় পোস্ট সমূহ

    সকল পোস্ট দেখুন
    J
    Ayrin Rahat Promi
    ·এপ্রিল ২৫, ২০২৫

    testing